/ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী / ফাইল ছবি
২৪খবরবিডি: 'বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।'
'রবিবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। তবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার সংসদে জানাজা শেষে তাকে নিজ বাড়ি নগরকান্দায় নেওয়া হবে। পরে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। রাতে মরদেহ সিএমএইচে থাকবে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালতা ও সদরপুর আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।'
'তার অবস্থার ভালোর দিকে থাকায় গত ৫ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু হঠাৎই সেদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। একপর্যায়ে স্বাভাবিক জ্ঞানেও ছিলেন না তিনি।
জাতীয় সংসদের উপনেতা 'সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই'
১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।'
'১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডসের ন্যাশনাল কমিশনার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলার মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ ও মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।'